খবর৭১ঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘এশিয়ার ৪৫টি দেশের মধ্যে এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার শীর্ষে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) তাদের জরিপে এ ঘোষণা দিয়েছে।’
আজ শুক্রবার সকালে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে চায় সরকার। আগামীতে আমরা প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি করতে চাই। বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যেন উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলে এদেশে কোন ব্যক্তি গৃহহীন থাকবে না।’ এ সময় এলাকাভিত্তিক অতিদরিদ্রদের তালিকা করে তাদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠান শেষে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা সরকারের জন্য বিরাট চিন্তার বিষয়। এদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। দেশে এবং বিদেশে যারা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রদানে সহযোগিতা করবে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৪১জন ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানকে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানের ১০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন। এছাড়া ৭১টি পরিবারকে ১ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। আগামীতে মাছের পোনা ও গাছের চারা বিতরণ করা হবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমেদ আল কবীর, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।