প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোন সিম/রিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদানকৃত সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করায় আশাহত হয়েছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেছেন, ‘গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে টেলিকম খাতের যে বিষয়গুলো আমরা দীর্ঘ সময় ধরে উত্থাপন করে আসছি, সেগুলো এবারের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত না হওয়ায় আমরা আশাহত। দেশের ডিজিটাল বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তাইমুর রহমান এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘মোবাইল ফোন সিম/রিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদানকৃত সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিমের ওপর কর ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ও সিম করের এই বৃদ্ধি দেশে ডিজিটাল সেবার প্রসারকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমরা মনে করি। এর পাশাপাশি স্মার্টফোনকে উচ্চবিত্তদের ব্যবহারযোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ফোরজি সেবা চালু হওয়ার পর থেকে দেশের জনসাধারণের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ, সব শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যম হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে।’
বাংলালিংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাজেটে মোবাইল কোম্পানির আয়ের ওপর সর্বনিম্ন শুল্ক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে যেসব মোবাইল কোম্পানি এখনো লাভজনক নয়, সেগুলোর করের বোঝা আরও বেড়ে যাবে এবং শেয়ারহোল্ডাররা এতে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হবে। বাংলাদেশ সরকারকে দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ ও সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।’