খবর৭১ঃ যত দিন গড়াচ্ছে বিক্ষোভ ততই বাড়ছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) থেকে নতুন মাত্রার বিক্ষোভ শুরু হলেও এটি ব্যাপক গণ আন্দোলনের রূপ ধারণ করে বুধবার (১ মে)। এদিন উত্তাল জনতাকে সামাল দিতে টিয়ার গ্যাস ও গরম পানি ছোড়ে দেশটির সেনাবাহিনী। বিক্ষোভকারীরা পাল্টা হামলা চালিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, বুধবার সেনাবাহিনীর ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও (২ মে) ব্যাপক বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়। বিক্ষোভকারীদের দেখলেই সেনাবাহিনী টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এসময় গুইদো নিজেও সমর্থকদের সঙ্গে রাজপথে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার জনতার উদ্দেশে গুইদো বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি, তাহলে তারা ভুল করেছে। তারা কল্পনাও করতে পারছে না যে তাদের উপর কত বড় ঝড় আসছে।’ সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মাদুরোর পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথে থাকতে হবে।’
নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন গুয়াইদো। সোমবার মধ্যরাতে এক ভিডিও বার্তায় আকস্মিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন তিনি, যা তার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা।
এদিকে, মাদুরো দেশ থেকে পালিয়ে কিউবাতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনার করছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে পম্পেওর এমন দাবিকে রসিকতা বলে উল্লেখ করেছেন মাদুরো। গতকাল তিনিও একদল সেনা সদস্যকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। তিনি বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক, দেশের স্বার্থে তিনি ক্ষমতা ধরে রাখবেন।