উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়ইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমিতে গড়ে উঠা পাকা আধাপাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নড়াইল পৌরসভার আলাদাতপুর থেকে নতুন বাস টার্মিনাল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ অভিযান সন্ধ্যা পর্যন্ত চালানো হবে। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ (উপসচিব)। এ সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফরিদ উদ্দিন, উপ-বিভাগী প্রকৌশলী মো. ওমর আলীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, অভিযানে আলাদাতপুর মসজিদের দক্ষিণ পাশের অবৈধ স্থাপনা, পান্না পেট্রোলিয়ামের উত্তর পাশের মার্কেটসহ একাধিক স্থাপনা, পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকায় পৌর মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট, ভওয়াখালীসহ পুরাতন বাস টার্মিনাল পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে অভিযান চলাকাওে অনেকেই আবার নিজেদের উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেন এবং স্ব স্ব স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য কেউ কেউ সময় নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ (উপসচিব) এর নিকট। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফরিদ উদ্দিন, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের আলাদাতপুর থেকে নতুন বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়ক বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে দখলমুক্ত করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমির সীমানা নির্ধারণ করে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া এক সপ্তাহ ধরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য মাইকিং করা হয়। কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিলেও বাকি দখলদারদের স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। সড়কের এসব জায়গা দখলদার মুক্ত করায় জনগণের চলাচলে সুবিধা হবে। লাল চিহ্নি স্থাপনা সমূহ উচ্ছেদ না করে ছোট ছোট দোকান বা স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ্দ করা হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ (উপসচিব) জানান, ‘না এমন কোন কাজ আমরা করছি না। তবে কিছু কিছু স্থাপনার অনুকুলে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে বলে কাগজপত্র দেখাচ্ছেন আমাদের। যেহেতু এটা আদালতের বিষয়, তবে তাদের আমরা একটা সময় দিয়েছি। আইনী ফয়সালা হলে এগুলিও উচ্ছেদ্দের আওতায় আসবে।