খবর৭১:সামরিক কুচকাওয়াজে অস্ত্রধারীদের হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএস মুখপত্র ‘আমাক’-এ হামলার দায় স্বীকার করলেও হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
এছাড়া সৌদি সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘আহওয়াজ ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স’ও হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইরানি কর্মকর্তারাও হামলার জন্য সৌদি মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্দেহ করছেন।
শনিবারের ওই হামলায় দেশটির অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ১১ সেনা, এক সাংবাদিক ও নারী-শিশুসহ ২৪ জন নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন অর্ধশতাধিক বেসামরিক লোক। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরেও ইরানের এই অঞ্চলে তেলের পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছিল আইএস ও আরবের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। যদিও শনিবারের ঘটনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহম্মদ জাভেদ জারিফ হামলার দায় চাপিয়েছেন সৌদি মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর।
ইরাক সীমান্তের কাছে ওই হামলা নিয়ে জাভেদ জারিফ টুইট করেন, ‘জঙ্গিদের নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তার পর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার গোটাটাই করছে বিদেশি শক্তিরা। আর তাদের মাথা আমেরিকা।’
এ দিন ইরাক-ইরান যুদ্ধের ৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্তে কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিল সেনাবাহিনী। আহভাজ সে রকমই একটি প্যারেডে হামলা চালায় আইএস। পাশের একটি পার্ক থেকে হঠাৎই সেনা, সরকারি কর্মকর্তা ও দর্শকদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে বন্দুকবাজেরা। স্থানীয় সময় তখন সকাল ন’টা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টানা দশ মিনিট ধরে গুলি চালাতে থাকে হামলাকারীরা।
খবর৭১/জি: