ধরলার পানি হ্রাস পাওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

0
423

আরিফুল ইসলাম সুজন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর তীরবর্তী চরা লের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও নি¤œা ল থেকে পানি নেমে যায়নি। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে গত তিন দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় থাকা চরা লের মানুষদের মাঝে। কিন্তু পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে দুর্ভোগ কমেনি এসব এলাকার মানুষজনের।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকার মোকছেন আলী জানান, ধরলার অববাহিকার চরা লগুলো থেকে দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আমরা আমরা দুঃচিন্তা থেকে মক্তি পেয়েছি। তবে আবার কখন বন্যা শুরু হবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমানে পানি নেমে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, ধরলা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে সহযোগীতা করা হবে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় পানি ঢুকে পড়ছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের নি¤œা লগুলোতে।
স্থানী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শফিকুল ইসলাম জানায়, গত ২৪ ঘন্টার সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খবর ৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here