হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে রেজভীয়া মসজিদে বৈদ্যুতিক পাখা (সিলিং ফ্যান) ব্যবহার নিয়ে মুসল্লিদের দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উত্তেজিত মুসল্লিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং রাতেই পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। সূত্র জানায়, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে গুদাম রেজভীয় জামে মসজিদের মুসল্লি আব্দুল হেকিম, ইলিয়াছ মিয়া ও জমির মিয়া অভিযোগ করেন- এই মসজিদের নতুন কিছু মুসল্লি যাদের কোরআন সুন্নাহ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তারা মসজিদে ফ্যানের (বৈদ্যুতিক পাখা) নিচে দাড়িয়ে নামাজ পড়া যাবে না বলে পীরের নিষেধ দেয় কমিটির সভাপতিসহ সদস্যরা। শুধু তাই নয়- ৫ ওয়াক্ত নামাজ অথবা জুম্মার নামাজের আগে কিছু লোক নামাজরত অবস্থায় ফ্যানের সুইচ বন্ধ করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটির লোকজন মসজিদের ভিতরে থাকা সবগুলো ফ্যান খুলে নিয়ে যায়। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গতকাল রাত ১০টায় তাৎক্ষণিক শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আনিছুর রহমানের মধ্যেস্থতায় প্রেসক্লাবে উভয় পক্ষের ১০জন করে মুসল্লি নিয়ে বসে বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রেজভীয়া মসজিদ কমিটির সভাপতি আলী আহমেদ খান, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আ.স.ম আফজল আলী, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রতন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাসুদউজ্জামান মাসুক, কাউন্সিল আব্দুল জলিল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবুল ভান্ডারী , আছকির মাষ্টার, আব্দুল হেকিম, মনিরুল হক, সোহেল মিয়াসহ অনেকেই। রাত ১২ টায় বৈঠকে উপস্থিত হন হবিগঞ্জ জেলা সহকারি পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম। উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনায় শান্তির শৃংখলার লক্ষ্যে উভয় পক্ষে সিদ্ধান্তে মসিজদের ২য় তলায় ফ্যান লাগানো এবং নিচ তলায় ফ্যান ছাড়াই নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ২য় তলায় ফ্যান লাগিয়ে মুসল্লিদের নামাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেয়া হয়।
খবর৭১/এস: