এনায়েতপুরে নদী ভাঙ্গনের কারনে বহু স্থাপনা হুমকির মুখে

0
324

উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদী ফুলেফেপে ওঠায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুদিনের ভাঙনে প্রায় ১৮টি বসত বাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের হাট, বহু ঘরবাড়ি ও তাঁত কারখানা। এদিকে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি এমন অভিযোগ এলাকাবাসির।
সরেজমিন জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এনায়েতপুর থানা সদরের ব্রাহ্মনগ্রাম-আড়কান্দি থেকে পাচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষ গুলো রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে। মঙ্গল বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মনগ্রামের রেজাউল, শহিদুল, ইব্রাহমি, জুব্বার ও জাহিদুল ইসলামের বাড়িসহ প্রায় ১৮টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এসময় আম-কাঠাল, লিচুসহ অসংখ্য গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে। ব্রাহ্মনগ্রামের আবির আহম্মেদ ও আড়াকান্দি চরের আব্দুল লতিফ জানায়, হঠাৎ করে নদীতে
পানি বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার মধ্যরাতের দিকে মাত্র দেড় ঘন্টার ব্যবধানে ব্রাহ্মনগ্রামের ৮টি বাড়িঘর নদীতে চলে যায়। এছাড়া চোখের পলকেই আড়কান্দিচরের বহু ফসলি জমি যমুনা নদী গ্রাস করে। তারা আরো বলেন, ভাঙন একসপ্তাহ স্থায়ী হলে এলাকার শত শত মানুষকে সম্বল হারিয়ে পথে বসতে হবে। এখন সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের বলা ছাড়া আমাদের এখন আর কোনো উপায় নেই। এদিকে অব্যাহত নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়কান্দি ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা, ব্রাহ্মনগ্রাম তারা জামে মসজিদ, দেশের সর্ববৃহৎ এনায়েতপুর কাপড়েরর হাট, ২৬টি তাঁত কারখানাসহ তিনটি গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার ঘর-বাড়ি।
এবিষয়ে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম এলাকার ইউপি সদস্য সোহরাব আলী বলেন, গত বছর পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নদী ভাঙন পরিদর্শনে এসে সভা করে ভাঙনরোধে আশ্বাস দিলেও এর কোন বাস্তবায়ন না দেখে হতাশ যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা। যমুনার অসময়ের এ ভাঙন এখনই ঠেকানো না গেলে বর্ষা মৌসুমে বহু ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তাই দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, তাঁত শিল্পসমৃদ্ধ এনায়েতপুরে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here