মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে ‘ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম’ শুরু

0
288

প্রেস রিলিজ: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আতœপ্রকাশ করেছে ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)। বৃহস্পতিবার ৩ মে, ২০১৮ খ্রীস্টাব্দে বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অগ্রযাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক এই সামাজিক জনসচেতনতা তৈরীর প্রত্যয়ী সংগঠন। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ১০০জন তরুণ সংবাদকর্মীদের নিয়ে গঠিত হয় ‘ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)’।

দুপুরে মৌলভীবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে ‘ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সাংবাদিক এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক তানভীর আঞ্জুম আরিফের সঞ্চালনায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়।

এতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, মিডিয়াবান্ধব জনসাধারণ ও সিএমএফ’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ‘ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, ফটোনিউজবিডি ডটকমের সম্পাদক সাংবাদিক এমদাদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আজ সারা বিশ্বে যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হচ্ছে, তখন বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের ওপর চাপ ও ভয়ভীতি আমাদের যারপরনাই উদ্বিগ্ন করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জরিপ এবং মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বেই গণমাধ্যমের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। আর যেসব দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

এমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমরা ‘ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)’ এর কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে আমরা এই ক্যাম্পেইন করবো। গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য আমাদের এই আন্দোলন দিন দিন সমৃদ্ধ ও বেগবান হবে। সিএমএফ’র এই আন্দোলন শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য নয়, এটা বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকের জন্যও আন্দোলন। কারণ গণমাধ্যম মুক্ত না হলে গণতন্ত্রও মুক্ত হবে না। বাক স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল অধিকার আদায়ের জন্য গণমাধ্যমকে মুক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)।

এসময় ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন ‘ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম (সিএমএফ)’ এর উপদেষ্ঠা লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী। সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী মৃত্যুবরণসহ নির্যাতনের শিকার হন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে নির্মম হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন পরও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ায় দেশের সাংবাদিক মহল ও সাধারণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের প্রত্যাশা সব ধরনের কালাকানুন, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বাধা ও হুমকির অবসান।

সভায় বিশ্বব্যাপী স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ রোধ ও দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের স্মরণ করা হয়।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here