খবর ৭১: দেশের বিভিন্ন স্থানে মিঠা পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এই সমস্যাটি প্রতি বছরই খাবার পানির আকাল বাড়ছে সমতল, উপকূল ও পার্বত্য এলাকায়। ভূগর্ভ থেকে পানি তোলায় নেমে যাচ্ছে এই স্তর। নদীর পানিতে বাড়ছে লবণাক্ততা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে ষাট ভাগেরও বেশী নাগরিক সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। চার বছর পর রাজধানীবাসী পদ্মা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারবে বলে আশা ওয়াসার।
বর্ষা মৌসুমে কিছুটা ঘাটতি পূরণ হলেও চাহিদা অনুযায়ী তা করা যাচ্ছে না। আশপাশের নদীর পানি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় ভূগর্ভস্থের পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ওয়াসাকে। তাই নাগরিক চাহিদার ২৪০ কোটি লিটার পানির ৮০ ভাগই পূরণ করা হয় ভূগর্ভস্থ থেকে। আর এতে মাটির গভীরে পানির স্তর ক্রমশই নিচে নামছে।
শুকনো মৌসুম এলেই পানির খরা দেখা দেয় রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায়। ঢাকা ওয়াসা ও পানি প্রকৌশলিদের গবেষণা বলছে, প্রতিবছর মার্চ থেকে আগষ্ট মাসে ঢাকার পানি স্তর নেমে যাচ্ছে ১০ ফুট পর্যন্ত।
শিল্প, কল, কারখানার জন্য প্রয়োজনী পানির যোগান আসছে ভূগর্ভস্থ থেকে। তাই শিল্প বিকাশমান জেলা শহর, নারায়গঞ্জ, নরসিংদী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে পানির সংকট। চট্টগ্রামের ভারি শিল্পকারখানার প্রভাবে গোটা পার্বত্য এলাকার প্রাকৃতিক ছড়া ও কুয়া শুকিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন জরিপ বলছে নিরাপদ পানির সংকটে ভুগছে বাংলাদেশে। পানিসম্পদের এই দেশের শতকারা ৬৫ ভাগ নাগরিক বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না।
পানির স্তর সংকট না থাকলেও সমুদ্রের নোনা পানি প্রতিবছর দখল করছে উপকুলীয় এলাকার নদ-নদী ও জলাধার। এরই মধ্যে খাবার পানির আকাল দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরা, বরগুনা, খুলনা, যশোর, চাঁদপুরে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ঘোষিত ১০০ শিল্পাঞ্চল জোনে পানির ব্যবহার পুরো দেশের চাহিদার ওপর বড় প্রভাব ফেলার আশংকা করছেন পানি বিজ্ঞানিরা।