সরকার চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে : আমির খসরু

0
251

খবর৭১:

সরকার চরম হতাশা ওনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ ২০ দলের মধ্যে কোনো হতাশা নেই। হতাশা কিন্তু সরকারি দলে। এবং তাদের হতাশা এমন পর্যায়ে গেছে যে তারা কোনো পথ খুজে পাচ্ছে না। কোন পথে চলবে?

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা সুসংহত, আইনের শাসন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য করনীয় শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় দল নামের একটি সংগঠন।

সরকারি দলের আচরণ শুধু অগণতান্ত্রিক নয়, সৈরাতান্ত্রিক নয়, তাদের আচরণ ফেসিজমে পৌছে গেছে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, এটা নিরাপত্তা হীনতার একটি লক্ষণ। এই ধরণের একটি দল তারা যখন নিরাপত্তা হীনতায় ভোগে, জনগণকে ভয় পায় তখন তারা জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। যেরকম ভাবে তারা দেশের মানবাধীকার কেড়ে নিয়েছে। তারা আজকে বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। গণ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সকল প্রতিষ্ঠান গুলোকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর একটি মাত্র কারণ সেটা হলো তারা নিরাপত্তা হীনায় ভুগছে। এবং তারা এগুলোকে কব্জা করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে নিরাপত্তার খোজ করছে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, তাদের নিরাপত্তাহীনতা এমন পর্যায়ে গেছে যেখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অস্ত্র নিয়ে আসতে হয়। জোর করে জনগণকে তুলে নিতে হবে।

তিনি বলেন, তারা খালি হাতে আসতে সাহস পায় না। তাদের এমন কি ভয় ভীতি? মনে হচ্ছে তারা যুদ্ধে নেমেছে। যে পথে তারা যাচ্ছে তা কিন্তু স্বৈর শাসকের পথ। একদলীয় শাসকের পথ। এই পথে জনগণ আরো নিপেষিত, নির্যাতিত হতে হবে। আর এই পথই সরকার বেছে নিয়েছে।

এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের একমাত্র পথ হচ্ছে নিপিরন নির্যাতনের পথ। গুম, খুন, হত্যা, জেল, জুলুমের পথ।

সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের যে প্রকল্প নিয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণকে বাইরে রেখে, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে হবে। জনগণ কে যদি ভোট থেকে বাইরে রাখতে হয় তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে হবে। তাদেরকে ব্যাংক লুট করে, শেয়ার বাজার লুট করে, মেগা প্রকল্পের নামো হাজার হাজার টাকা লুট করে তাদেরকে নির্বাচনী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

বেগম খালেদা জিয়া হলেন আপসহীন নেত্রী। তিনি আজকে গণতন্ত্রের মা উপাধী পেয়েছেন। দেশে গণতন্ত্র পূণপ্রবতনে তিনি আজ জেলে গিয়েছেন। দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার ফিরে পেতে তিনি জেলে গিয়েছেন।

বাংলা দেশের ১৭ কোটি মানুষ আজ বদ্ধ পরিকর। যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করেছি তাতে তারা পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কেউ আমাদের সাথে হাটছে, কেউ পিছে বা কেউ পাশে হাটছে। কিন্তু লক্ষ একটাই সেটা হলো বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্রপুনরুদ্ধার করতে হবে। আমরা সেই পথে সফল হবই এবং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের গণতন্ত্রের মা হিসাবে বিশ্বের কাছে স্বীকৃত পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জাপা মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষি, অপশান চালিয়ে কোন স্বৈরাচার তাদের শাসনকে চিরস্থায়ী করতে পারে না। গণঅভু্ত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পত অনিবার্য।

এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সময়মত কঠিন কর্মসূচী ঘোষনা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে রাজপথের আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের একদলীয় নির্বাচন বর্জনকারী সকল দলের সাথে আলোচনার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যমঞ্চ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, জোটের প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ২০ দলীয় জোট জোটগতভাবে কোন কর্মসূচী পালন করতে না পারা চরম ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায় সকলকে বহন করতে হবে। জোটকে কার্যকর করা না গেলে আন্দোলনে সুফল আসবে না। ছেলে-মেয়ে বিপথে গেলে যেমন বাব-মা দায় এড়াতে পারে না, ঠিক তেমনই জোটের কোন শরিকের মঝে হতাশা আসলে বা বিপথে গেলে জোটের প্রধান দল হিসাবে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারবে না।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান এড.সৈয়দ এহ্সানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী মোস্তোফা জামান হায়দার, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তোফা ভূইয়া, লেবার পার্টির (একাংশের) হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় দলের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, দেশ বাচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here