খবর ৭১ঃ এক দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো সম্মেলনে বসতে যাচ্ছে দুই কোরিয়া। এ বছর এপ্রিলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রথম বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান চুং ইউই-ইয়ং। চুং জানান, ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সেনামুক্ত এলাকায়। এছাড়াও, দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান যোগাযোগের জন্য হটলাইন স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করারর নানা ইস্যু নিয়ে উন্মুক্ত সংলাপ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান চুং সহ সরকারের শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে পিয়ংইয়ং পাঠান। সেখানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দক্ষিণের প্রতিনিধি দল।
২০১১ সালে ক্ষমতা নেয়ার পর এবারই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করলেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈঠক শেষে কিম জানিয়েছেন- দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান তিনি।
পিয়ংইয়ংয়ে সফর করা দক্ষিণ কোরিয়ার চার শীর্ষ কর্মকর্তাদের চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের ব্রিফ করবেন।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সতর্কতার সঙ্গেই আশাবাদী’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে, পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম বন্ধ না করলে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
খবর ৭১/ইঃ