খবর ৭১ঃ বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৭তে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট হলো ১৫৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে চীনের বাজেট ১৬১৭০ কোটি ডলার, ভারতে ৫১০০ কোটি ডলার ও পাকিস্তানে এই বাজেট ৭০০ কোটি ডলার। এতে বলা হয়, বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে দুই, তিন ও চার নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন ও ভারত। এই হিসাবে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে তারা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। সামরিক শক্তির দিক দিয়ে পাকিস্তান রয়েছে ১৩তম অবস্থানে। ২০১৭ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের মোট ১৩৩টি দেশের ওপর ওই তালিকা করা হয়। এ তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডট কম। এতে বলা হয়, তালিকার শীর্ষ ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, বৃটেন, জাপান, ইসরাইলও। তবে এই রিপোর্টে কোনো দেশের স্ট্রাটেজিক ফোর্স, যেমন পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয় নি। ওইি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সদস্যের সক্রিয় সামরিক বাহিনী রয়েছে। ভারতে এ সংখ্যা ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০। চীনে ৩৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ এবং পাকিস্তানে ৬ লাখ ৩৭ হাজার। এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৬৬টি এয়ারক্রাফট। প্রতিবেশী ভারতের কাছে আছে ২১০২টি এয়ারক্রাফট। চীনের আছে ২৯৫৫ টি ও পাকিস্তানে আছে মোট ৯৫১টি এয়ারক্রাফট। ওই রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আছে মোট ৫৩৪টি ট্যাঙ্ক, ৯৪২টি সশস্ত্র সাজোয়া যান, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান, ৩২টি রকেট প্রজেক্টর। ওই রিপোর্টে বলা হয়, চীনের কাছে রয়েছে ৬৪৫৭টি ট্যাঙ্ক। ভারতের আছে ৪৪২৬টি ও পাকিস্তানের কাছে আছে ২৯২৪টি ট্যাঙ্ক। এ সংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় ৬ গুন। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে আছে মোট ৮৯টি ‘নেভাল এসেট’। এ দেশের কাছে আছে ৬টি ফ্রিগেট, চারটি করভেটিস, ২৮টি পেট্রোল ক্রাফট, ৫টি মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল। তবে বাংলাদেশের কাছে কোনো বিমানবাহী ক্যারিয়ার, ডেস্ট্রয়ার বা সাবমেরিন নেই। এতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের কাছে নেই কোনো এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার। তাছাড়া তাদের নৌবাহিনীর হাতে আছে ১০টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন। এ ছাড়া আছে আরো প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম।
খবর ৭১/ইঃ