যেকোনো সময়ের চেয়ে কার্যকর সংসদ এটি: রওশন

0
340

খবর৭১: জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিরোধী দলীয় নেতা দাবি করেছেন, এই সংসদ যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কার্যকর। তিনি বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সংসদের চেয়ে জাতীয় উন্নয়নে বর্তমান জাতীয় সংসদ অধিক বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। অতীতের সব সংসদে বিরোধীদল ফাইল ছোঁড়া-ছুড়ি, অসংসদীয় বক্তব্য প্রদান, অকারণে বারবার ওয়াক আউট, লাগাতার সংসদ বর্জনের মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। অথচ এবারের সংসদে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে এটা অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে।’

বুধবার দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মুখে ২০১৪ সালের নির্বাচনে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ভোটে যায় জাতীয় পার্টির একটি অংশ। তবে এরশাদের নেতৃত্বে একটি অংশ আবার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল যদিন এরশাদ নিজে নির্বাচিত হয়ে আসেন একটি আসনে। পরে জাতীয় পার্টির সদস্যরা রওশনকে তাদের সংসদীয় দলের প্রধান নির্বাচন করেন। এরশাদ প্রথমে শপথ নেবেন না জানিয়ে পরে শপথ নেন আর মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হন।

আবার সংসদে বিরোধী দলে থাকলেও জাতীয় পার্টির একজন তো পূর্ণাঙ্গ এবং দুই জন প্রতিমন্ত্রী হন। আর জাতীয় পার্টির একই সঙ্গে বিরোধী দলে থাকা এবং সরকারে থাকা নিয়ে সমালোচনা আছে।

মঙ্গলবার সংসদে রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আসলে সরকারি দলে নাকি বিরোধী দলে- কেউ এমন প্রশ্ন রাখলে এর সদুত্তর দিতে পারি না। ফলে জাপা তার প্রাপ্য সম্মানের জায়গায় নেই।’

‘সরকারে থাকা জাপার মন্ত্রীদের কারণে আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় কাজ করতে পারছি না।…‘সরকারে থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের সরিয়ে দিন। সরকারে থাকা বিরোধী দলের মন্ত্রীদের বাদ দিলে জাপা বেঁচে যেত। হয় কয়েকজন মন্ত্রীকে সরিয়ে নিন, নইলে সবাইকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে নিন।’

সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘বিরোধী দলের সর্বাত্মক সহযোগিতার ফলে অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের উন্নয়ন অনেক বেশি হয়েছে।’

সরকারের প্রশংসা করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘বর্তমানে জনগণ অনেক শান্তিতে রয়েছে। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে, যা জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষা, ব্যাংকিং খাত, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিতে হবে।’

রওশন বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় পাঁচ কোটি বেকার রয়েছে। এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এদের কাজ নেই বলে দেশে মাদকের বিস্তার ঘটেছে।’

তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণকে দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তবে এ খাতে বারবার বরাদ্দ বৃদ্ধি করার বিষয়টির তিনি সমালোচনা করেন।

তিনি শিক্ষা খাতের বর্তমান অবস্থা দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বেগম রওশন এরশাদ রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী উত্থাপিত পাঁচ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই অগ্রসর হতে হবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here