রাকিব হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকাকে মোবাইল ফোনে শাসানোর অপরাধে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে একবছরের শিশু পুত্র ওসমানকে নিয়ে পালিয়েছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের আবদুল মোতালেব শিকদার।
তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার মুরাদীয়া এলাকার জাফর খানের পুত্র আলামিন খানের (২৩) সাথে দুই বছর পূর্বে তার একমাত্র কন্যা নিপা আক্তারের (২০) সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আলামিন ও তার পরিবারের দাবিকৃত যৌতুকের নগদ দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আলামিন ব্যবসার জন্য পূণরায় দুই লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য নিপাকে চাঁপ প্রয়োগ করে। এতে নিপা অসম্মত্তি জানালে আলামিন প্রায়ই নিপাকে শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো। এরইমধ্যে নিপা-আলামিন দম্পত্তির ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
নিহতের পিতা আবদুল মোতালেব শিকদার আরও জানান, সম্প্রতি আলামিন তার মামাতো বোনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আলামিনকে পরকীয়া প্রেম থেকে বিরত থাকতে নিপা অনুরোধ করে। একইদিন আলামিনের পরকীয়া প্রেমিকাকে ফোন দিয়ে নিপা শাসিয়ে দেয়। বিষয়টি আলামিন জানতে পেরে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নিপাকে বেধরক মারধর করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে আলামিন তাদের এক বছর বয়সের পুত্র ওসমানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত নিপার নিকট আত্মীয় রুমান আহমেদ জানান, প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে তিনি ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিপাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকেই আলামিন ও তার পরিবারের সদস্যরা বসত ঘর তালাবদ্ধ রেখে আত্মগোপন করেছে।
পটুয়াখালী হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, নিহত নিপার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিলো। দুমকী থানার এসআই মোঃ মানিক জানান, খবর পেয়ে তিনি নিহত নিপার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন।
খবর৭১/এস:
