খবর৭১: সত্তরের দশকে রাজ্জাক তার বিপরীতে তিনজন নায়িকা পেয়েছেন। এক দশক আগেও মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌসেরা নিজের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করতে চার-পাঁচজন নায়িকার সহযোগিতা পেয়েছেন। ২০১০ সালের পর চলচ্চিত্র ডিজিটাল যুগে ঢোকার পর নতুন নায়িকা যোগের মিছিল হয়।
শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাসদের সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন জয়া আহসান, মাহী, ববি, বর্ষা, পরীমণি, বুবলী, অমৃতা, ফারাহ রুমা, পিয়া বিপাশা, মৌসুমী হামিদ, নাবিলা, নুসরাত ফারিয়াসহ অনেকেই।
কিন্তু এই যুগের শাকিব খান, শুভ, নিরবের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য পরিচালকেরা কলকাতার নায়িকাদের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।
নতুন মুখের অভাব নেই। কিন্তু তাদের সিংহভাগই দর্শকের মন কাড়তে পারছেন না। স্থায়ী হচ্ছেন না। এমন অনেক নায়িকা আছেন, দু-একটা ছবির পর যাদের আর কোনো খবর থাকে না। আশ্রয় হয় ছোট পর্দায়—নাটকে কিংবা পণ্যের বিজ্ঞাপনে। কেউ আবার উপস্থাপনা করছেন।
অনেকটা এই প্রসঙ্গ টেনে বর্তমানের নায়িকা পূর্ণিমা বলেন, আগে অনেক ভালো পরিচালকের হাতের ভালো গল্পের ছবি নির্মিত হতো। এটা নিয়মিতভাবেই হতো। গল্পে নায়ক ও নায়িকার সমান গুরুত্ব ছিল। এখন বেশির ভাগ ছবি নায়ককেন্দ্রিক। এখন সেই গল্পও নেই, গল্পে নায়িকার গুরুত্বও নেই। ফলে দর্শকেরা নায়িকাদের আর মনে রাখছে না।
খবর৭১/এস: