খবর৭১:
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় সরকার ভীত বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, সরকারের বিরোধী দল দমনের নীতিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ মৃতপ্রায়। এদেশে সরকার আছে, তবে বিরোধী দল নেই।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে” বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্লাক ডে অব বাংলাদেশেস হিস্ট্রি। সে দিন থেকেই ব্যর্থ সরকারের পতনের সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করতে জানে। আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে জনগণ মুক্ত করে আনবে।
হাফিজ বলেন, দেশ আজ কারাগার, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঢালাও ধরপাকড় চলছে। দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। যা দেশবাসী তথা দেশপ্রেমিক-গণতান্ত্রিক শক্তি কোনভাবেই মানতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আজকে আমাদের নিন্দা জানানোর মতো ভাষা নেই। আজ বেগম খালেদা জিয়াকে নয়, বরং গণতন্ত্রকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। যিনি আজীবন বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাঁর সাথে এই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হলো।
তিনি বলেন, এটা কোনো বিচার নয়। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। যে বিচারক আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেছেন তাঁকে আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য অতীতে সংগ্রাম করেছে, আজ সেই আওয়ামী লীগই ৫ জানুয়ারি ভোটার ও ভোটবিহীন নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তারা এই ভোট ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসে অবৈধভাবে দেশ পরিচালনা করছে।
তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বলেন, আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য, নব্বইয়ের পতিত স্বৈরাচার আজ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাকার হয়ে দেশে একটি ভয়ঙ্কর-নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করেছে।
কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি এস. আল. মামুন, পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ, এডভোকেট আজাদ মাজবুব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. নুরুল কবির ভুইয়া পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, সৈযদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব আল-আমিন ভুইয়া রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেদ
ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, কেরাইশা বেগম সাবিহা প্রমুখ।
খবর৭১/এস: