জঙ্গিবাদ ও মাদক এখনও বড় সমস্যা : ডিএমপি কমিশনার

0
366

খবর ৭১:জঙ্গিবাদ ও মাদক এখনও বড় সমস্যা। মাদকের কারনে অপরাধ বাড়ছে।

আর জঙ্গিবাদের কারণে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি খুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি বিচ্ছন্নভাবে ছিনতাই, হত্যা, অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতি স্বাভাবিক রাখতে হলে এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আজ মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরে মাসিক অপরাধ সভায় এসব কথা বলেন।
সামনে সিটি কর্পোরেশ নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে অপরাধ সভায় সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। সন্ত্রাসীরা মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারে। আগে থেকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মাঠ পর্যায়ে টহল জোরদার করতে হবে। যেকোন পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রাখতে হবে।

গত ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিসেম্বর মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ। এছাড়া, বিট পুলিশিং, মাদক নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র উদ্ধার, মামলা তদন্তে সফলতা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি ভূমিকা রাখার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

ডিএমপিতে এলাকা ভিত্তিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ‘বিট পুলিশিং) নামে আলাদা একটি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি থানার একজন এসআইয়ের নিয়ন্ত্রণে জনগণের সমস্যা, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার তাগিদ দিয়ে ক্রাইম কনফারেন্সে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এলাকাভিত্তিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিট পুলিশিং আরো গতিশীল করতে হবে। মানুষের উঠানে গিয়ে অভিযোগ শুনতে হবে। তবে পুলিশ কমিশনার এই নির্দেশ দিলেও মাঠ পর্যায়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ঠিকমত হচ্ছে না। এ কারণে মাদক সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়েই চলেছে।

আজ ডিএমপির আটটি ক্রাইম জোনের মধ্যে বিট পুলিশিংয়ে ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক, ওয়ারী জোনের সিনিয়র সহাকারী পুলিশ কমিশনার সোহেল রানা, কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি শাহীন ফকির, গেন্ডারিয়া থানার ওসি কাজী মিজানুর রহমান ও যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

মাসিক অপরাধ সভায় আগত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আপনাদের কাজের মধ্যে আমি সততা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও জনদায়বদ্ধতা দেখেছি। এই জন্য আপনাদেরকে স্যালুট জানাই। নিজেদের পেশা, জনদায়বদ্ধতা ও নীতির উপর অটল থেকে জনসেবা দিতে হবে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে কিন্তু আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। টিম ডিএমপি’র প্রতিটি সদস্য পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কাজ করে যাচ্ছে। সবসময় সরকারী সম্পত্তির সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন, এই পুরস্কার কর্মজীবনে কাজের গতি বাড়াবে। পুলিশের সকল কৃতিত্ব কোন একক ব্যক্তির নয়। এই কৃতিত্ব টিম ডিএমপি’র।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here