বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, আমরা অনেক আগেই বলেছি বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা আর অবশিষ্ট নেই। এই নির্বাচন কমিশন রাজদরবারের গোপাল ভাঁড়ে পরিণত হয়েছে।
মানুষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি, অথচ তারা বলছে ধানকাটার জন্য মানুষ ভোট দিতে যায়নি।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ২ নং জোনের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুস সালাম বলেন, বিভিন্ন বিদ্যুৎ কোম্পানির সঙ্গে সরকার চুক্তি করেছে যাদের কাছ থেকে কোনো বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে না, শুধু লুটপাট করতেই কুইক রেন্টালের ভাড়া টাকার পরিবর্তে ডলারে দেওয়া হচ্ছে। এই লুটপাট বন্ধে সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা ও লজ্জা দিনে দিনে সমানহারে কমছে। একটি দল নিজের কর্মদোষে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হওয়ার এটা বড় লক্ষণ। মানুষের স্বতস্ফূর্ত প্রত্যাখ্যানে এবারের প্রহসনমূলক উপজেলা নির্বাচন অতীতের সকল ইতিহাসকে ম্লান করে ফেলেছে। মানুষের এই মৌন অনাস্থা একসময় বিক্ষোভের অগ্নিস্ফুলিংগে পরিণত হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সারাক্ষণ অস্থিরতায় থাকে। এই বুঝি তাদের পতনের হুইসেল বেজে উঠল। এই ভয় থেকেই সরকার বিএনপির একের পর এক নেতাকে কারাগারে নিচ্ছে। কিন্তু এসব গ্রেপ্তার করে পতন ঠেকানো যাবে না। এখনো সময় আছে, দেয়াল লিখন পড়ুন। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই মানে মানে কেটে পড়ুন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু তার বক্তব্যে বলেন, নাগরিকরা বিভিন্নভাবে সরকারকে বারবার প্রত্যাখ্যানের সংকেত দিচ্ছে। সরকার তলে তলে এই অনাস্থা ও প্রত্যাখ্যানে দিশাহারা হয়ে এখন আবোল-তাবোল বক্তব্য দিচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, হারুন-অর-রশিদ, লিটন মাহমুদ, কে সিকান্দার কাদির, হাজী কাজী মনির হোসেন, সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টুসহ মতিঝিল, শাহাজাহানপুর ও পল্টন থানা বিএনপির নেতারা।