প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঝড়-বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম থাকায় প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম ভোট পড়েছে।
বুধবার (৮ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, ঝড়-বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম থাকায় কমিশনের প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম ভোট পড়েছে।
তিনি বলেন, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সারাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ভোট বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে কম ভোট পড়ার কারণ ভোটারদের অনাগ্রহ কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান সিইসি।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা বাড়ে। এই ধাপে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু-একটি জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও কোথাও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটেনি।
এই নির্বাচনে এক হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ ২৮ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১১ হাজার ৫৫৬টি কেন্দ্র ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষ ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ ও ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভো-টিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে।