বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর শুরু হওয়া যৌথ অভিযানে আটককৃত কেএনএফের সক্রিয় সদস্য ১৭ জন নারীসহ ৫২জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ও থানায় কেএনএফের কয়েক দফা হামলার ঘটনায় দায়ের করা আট মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত কয়েকদিনে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ১৭ নারী সদস্যসহ ৫২ জনকে সোমবার (৮ এপ্রিল) বান্দরবান সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবারের (৯ এপ্রিল) মধ্যে তাদেরকে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন।
বান্দরবান সদর কোট পুলিশ পরিদর্শক একে ফজলুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার কেএনএফ এর এই ঘটনায় আরো ২জনকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, এ পর্যন্ত ১৭জন নারীসহ ৫৪ জনকে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে এলিজাবেথ বম নামের এক নারী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় আদালতে তোলা হয়নি। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান।
এদিকে , ছয় উপজেলায় ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকলেও সোনালী ব্যাংক বান্দরবান সদর শাখা থেকেই লেনদেন করছেন গ্রাহকরা। গত কয়েকদিন ভিড় থাকলেও মঙ্গলবার ভিড় কিছুটা কম ছিলো।
তবে, ব্যাংক খোলা থাকার শেষদিনে লেনদেনের চাপ কম ছিলো সোনালী ব্যাংক বান্দরবান সদর শাখায়।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া সব অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি সাজোয়া যান (এপিসি)।