আবারও ফিফার বর্ষসেরা মেসি

0
54

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার হাতে তুললেন লিওনেল মেসি। লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়।

যেখানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে পুরস্কার জিতে নেন মেসি। তবে নিজ হাতে পুরস্কার নিতে যেতে পারেননি তিনি। তার বদলে পুরস্কার গ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি।
গত বছর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে এই পুরস্কার জয় করেছিলেন ‘খুদে জাদুকর’। এর আগে ২০১৯ সালেও তিনি বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। ‘দা বেস্ট’ নামকরণ হওয়ার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার পুরস্কার জিতলেন তিনি।

তবে এবারের জয়টা সহজে আসেনি মেসির জন্য। কারণ ভোটাভুটির ফলাফলে দেখা যায়, হালান্ড এবং তার দুজনের স্কোরিং পয়েন্ট সমান ৪৮ করে। তবে জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে প্রথম পছন্দের তালিকায় মেসি কিছুটা এগিয়ে ছিলেন। যে কারণে পুরস্কার জিতে নেন ইন্টার মায়ামি তারকা। আর এমবাপ্পে শেষ করেন ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে।

মেসি সবমিলিয়ে ৮ বার ফিফার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন- ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৫ সালে।

১৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২০ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছেলেদের ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নিয়েছে ফিফা। সেখান থেকে একজনের হাতে অর্থাৎ মেসির হাতে উঠলো বর্ষসেরার পুরস্কার।

বছরের সেরা ফুটবলারদের মধ্য থেকে শুরুতে ১২ জনকে বেছে নিয়েছিল ফিফার বিশেষজ্ঞদের প্যানেল। সেই তালিকা থেকে আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড (যেখানে আছেন জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক এবং ফিফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভোট প্রদান করা সমর্থকরা) বেছে নেন সেরা তিনজনকে।

এবারের মতো গতবারও বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন মেসি। শুধু তা-ই নয়, এবারের মতো গতবারও পুরস্কারটি জিতে নেন তিনি।

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর গত মৌসুমে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিকে লিগ জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। লিগ ওয়ানে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট ছিল তার। যদিও মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে গিয়েও জেতেন শিরোপা। ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতর জাতীয় দলের হয়েও দুর্দান্ত খেলেন মেসি। তাই এবার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি।

মেসির মতো পিএসজিকে গত মৌসুমের ফরাসি লিগ শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখেন এমবাপ্পেও। শেষ ২০ ম্যাচে লিগ ওয়ানে ১৭ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। মৌসুম শেষে সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি লিগ ওয়ানে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি। পুরো মৌসুমেই ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।

গত মৌসুমে ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম সদস্য হালান্ড। গতি, শক্তি ও ফিনিশিং সক্ষমতা দিয়ে নাজেহাল করে রাখতেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুসহ, প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট, সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি। ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতর ৩৩ ম্যাচে ২৮ গোল করেন এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য কপাল পুড়লো তার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here