খবর৭১: ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে অংশ নিতে ৪৬ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দলটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২৪ জনের একটি মধ্যম উদ্ধারকারী দল, ১০ জনের মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২ জন সদস্য থাকবেন।
বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রুহুল আমিন। ভূমিকম্প পরবর্তী জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান তুরস্কে পাঠানোর জন্য ঢাকা-আঙ্কারা-ঢাকা রুটে একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বিমানটি বাংলাদেশ থেকে আজ তুরস্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। তুরস্কে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর পর বিমানটি ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।
উদ্ধারকারী দলটি ভূমিকম্প পরবর্তী সাহায্যের জন্য তুরস্ক জনগণের মাঝে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম এবং মেডিকেল সহায়তা দেবে।
এদিকে ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে অংশ নিতে ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্সের ১২ সদস্যের একটি দল যাচ্ছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে দলগুলো বিমানবাহিনীর (সি ১৩০) উড়োজাহাজে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে।
সোমবার ভোরে সিরিয়া সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে আঘাত হানা একটি বড় ধরনের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর আরও বেশ কয়েকটি আফটারশক বা ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূতি হয়েছে। এর মধ্যে একটি কম্পন ছিল মূল ভূমিকম্পের মতোই শক্তিশালী। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও পানি সংকট, বাসস্থান সংকট ও জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে সেখানে সার্বিকভাবে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।