সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এক কিশোরী (১৭) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মো. সোলায়মানের (২৫) বিরুদ্ধে ওই মামলাটি দায়ের করেন ।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাটোয়ারীপাড়া মো. আলাউদ্দিনের কিশোরী কন্যা (১৭)। আর একই উপজেলার বাঙ্গালীপুর পাটোয়ারীপাড়ার মৃত. আহম্মদ আলীর ছেলে মো. সোলায়মান (২৫)। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ঘটনার দিন গত ২০২১ সালের ৫ জুলাই রাজমিস্ত্রি সোলায়মান একই এলাকার আলাউদ্দিনের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। এ সময় গৃহকর্তা আলাউদ্দিন এবং তাঁর স্ত্রী মোছা. টুলটুলি বাড়িতে ছিলেন না। আর এ সুযোগে তাদের অনুপস্থিতিতে কিশোরীকে (১৭) বাড়িতে একা পেয়ে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের জনৈক ব্যক্তির বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে রাজমিস্ত্রি সোলায়মান। এর পর ধর্ষক সোলায়মান ঘটনাটি আর কাউকে না বলার জন্য ওই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে সোলায়মান ওই কিশোরীকে লোভ দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ফলে তার শরীরের আকার আকৃতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এতে তাঁর বাবা-মায়ের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়। পরবর্তীতে কিশোরীর বাবা-মা তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে একজন প্রসূতি ও বিশেষজ্ঞ গাইনী চিকিৎসকে দেখান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নারী চিকিৎসক ওই কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে তাঁর বাবা-মাকে জানান। এরপর কিশোরী কন্যাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে এসে ঘটনার বিষয়ে তাঁর বাবা-মা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় রাজমিস্ত্রি সোলায়মান তাকে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। বর্তমানে ওই কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে রাজমিস্ত্রি সোলায়মানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১) ধারায় সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের কেেছন। যার নম্বর:১৭, তারিখ: ২০/০৩/২০২২ইং।
সৈয়দপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসানাত খান জানান, থানার উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করছেন।
সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, গতকাল রোববার কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন মামলার আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।