কাঁঠালিয়ায় স্কুল বন্ধ রেখে বৌভাতের সংবাদের খবরটি সত্য নয় দাবি

0
328

রতন আচার্য্য,ঝালকাঠি প্রতিনিধি ;
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে প্রধান শিক্ষকের ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলাম খান। তিনি অভিযোগ করেন, গত ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান শিশির দাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাঁর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাংবাদিকের মাধ্যমে নিউজ করিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে ওই দিন বিদ্যালয় খোলা ছিল। ছেলের বিয়ের কারনে তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিলেন। বিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে বিদ্যালয় থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম খান জানান, গত ৫ মার্চ তাঁর ছেলে মো. সজিব খানের বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পশ্চিম তারাবুরিয়া গ্রামের বাড়িতে। এদিন তিনি নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিলেন। বিধি অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন হাওলাদার দায়িত্বে ছিলেন। সময় মতো ষষ্ঠ শ্রেণি, অস্টম, দশম ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদান হয়। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানে অতিথিরা অংশ নেন।

এ ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিশুর দাস বিভিন্ন পত্রিকায় ও ফেসবুকে ‘স্কুল বন্ধ রেখে প্রধান শিক্ষকের ছেলের বৌভাতে সবাই’ শিরোনামে সংবাদ করিয়েছেন। সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি এ কাজটি করান। ২০২১ সালের ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শিশির দাস ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম খান চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে শিশির দাস বিজয়ী হয়েও তিনি প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। শিশির দাস বিদ্যালয়টির কমিটির সভাপতি হতে না পেরে নান ষড়যন্ত্র করছেন।
প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম খান বলেন, কোন সাংবাদিক বন্ধু তথ্য জানার জন্য আমার কাছে ফোন করেনি। তারা প্রকৃত সত্য না জেনেই আমার বক্তব্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আমার সাথে কথা না বলে কিভাবে সাংবাদিকরা আমার বক্তব্য প্রকাশ করলেন, এটা আমার বোধগম্য নয়। সংবাদে সপ্তম ও নবম শ্রেণির ক্লাসের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দিন সপ্তম ও নবম শ্রেণির ক্লাস ছিল না। মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদের কারনে বিদ্যালয় ও প্রধান শিক্ষকের সম্মানহানি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিশির দাস বলেন, বিদ্যালয় নিয়ে কোন সংবাদের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here