খবর৭১ঃ গত জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বেনেট নামের এক ব্যক্তির শরীরের। হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের দুই মাস পর তার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ মার্চ) হয় বলে এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে।
এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়, ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড বেনেট ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর কারণ এখনও প্রকাশ করেননি চিকিৎসকরা।
গত জানুয়ারিতে ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড বেনেটের জীবন বাঁচাতে তার শরীরে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারে যাওয়ার আগে বেনেট সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমার সামনে দু’টি বিকল্প রয়েছে, হয় অস্ত্রোপচার করা অথবা মারা যাওয়া। আমি জানি এটা অন্ধকারে গুলি ছোঁড়ার মতো একটা ব্যাপার, কিন্তু আমার জন্য এটাই শেষ চেষ্টা।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, বিশ্বের প্রথম শূকরের হৃদপিণ্ড মানবশরীরের প্রতিস্থাপনে এ ধরনের অস্ত্রোপচার করার জন্য ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ। কারণ, এই অস্ত্রোপচার ছাড়া ডেভিড বেনেটকে বাঁচানোর আর কোনো উপায় ছিল না। এর দুই মাস পর বুধবার বেনেটের মৃত্যু হলো।
মৃত্যুর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে গেছেন বেনেট। তার শরীরের শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা চিকিৎসকদলের দাবি, মানুষের শরীরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা গেলে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলে যাবে। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিনে এক বিবৃতিতে সার্জন বার্টলে গ্রিফিথ বলেছেন, ‘অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বল্পতার সমাধানে এই অস্ত্রোপচার বিশ্বকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’