বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী আসছে স্মার্টফোনের আওতায়, ঋণ দেওয়া শুরু

0
144

খবর৭১ঃ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় নিয়ে আসতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপকমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার কথা বলেন।

এদিকে ২০২৩ সালের মধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কিনতে এরই মধ্যে ঋণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন নেই- ইতোমধ্যেই তাদের ঋণ দেওয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই ঋণ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, অনসাইট, অনলাইন ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষা পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে।

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতিতে স্মার্টফোন, ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও সবার শিক্ষায় সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির রূপরেখা তুলে ধরেন। রূপরেখায় ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছ।

প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here