কুমিল্লাকে হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালে বরিশাল

0
255

খবর৭১ঃ বিপিএলের অষ্টম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। শেষদিকে দুই ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচায় এক উইকেট তুলে নিয়ে ইমরুলদের হতাশায় ডোবান পেসার মেহেদী হাসান রানা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। বল হাতে ফরচুন বরিশালের মেহেদী হাসান রানা ৩ ওভারে ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন। তার এমন স্পেলেই প্রায় হারতে বসা ম্যাচ জিতে নেয় বরিশাল।

শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। ব্যাট হাতে দুই মারকুটে ব্যাটার সুনীল নারিন ও ফাফ ডু প্লেসি। তবে আইপিএলে চার ছক্কার ঝড় তোলা নারিন এদিন ব্যাটে বলই লাগাতে পারেননি। ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল হাতে এসে মাত্র ৩ রান দেন মেহেদী হাসান রানা। পরের ওভারে ১০ রান দেন ব্রাভো। ইনিংসের ১৯তম ওভারে আবারও বল হাতে মেহেদী, এবার তার খরচ মাত্র ৪ রান, সঙ্গে সাজঘরে ফেরান কুমিল্লার আশার প্রদীপ ডু প্লেসিকে। শেষদিকে আর চমক দেখাতে পারেননি কেউ। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল

এর আগে মিরপুরে সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয় দলকে ভালো শুরু এনে দেন। তবে দুজনের ব্যাটিং ছিল ধীরগতির। ১০.৪ ওভারে তারা দলকে এনে দেন ৬২ রান। এদিন জয়ের ব্যাটিং ছিল কচ্ছপ গতির। ৩০ বল মোকাবিলা করে তিনি করেন মাত্র ২০ রান। স্ট্রাইকরেট ৬৬ এর একটু ওপরে।

অন্যদিকে ৪ চারের মারে ৩৫ বলে লিটন করেন ৩৮ রান। তাদের ধীরগতির ব্যাটিং শেষদিকে দলকে বিপদে ফেলে। দুজনের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েস। জ্বলে ওঠার আভাস দিয়েও ফিরে যান মঈন আলী। ১৫ বলে ৩ ছক্কার মারে ২২ রান করে ডোয়াইন ব্রাভোর শিকার তিনি।

দলকে এদিন জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি ডু প্লেসিও। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে ১৫ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে মেহেদীর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচের বাকিটা সময় নিজের দখলে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল। মেহেদী ছাড়াও বল হাতে ফরচুন বরিশালের শফিকুল ইসলাম ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে ঝড় তোলেন বরিশালের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ার। দুজনের ৫৮ রানের জুটি ভেঙে দেন পেসার শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ২২ রান করে ফিরে যান গেইল। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তখনো তাণ্ডব চালাতে থাকেন মুনিম। তানভীরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ৪ ছক্কা ও ২ চারের মারে তিনি ৩০ বল মোকাবিলা করে খেলেন ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।

এরপরই তাসের ঘরে মতো ভাঙতে থাকে বরিশালের ব্যাটিং লাইন আপ। ৮৮ রান তুলতে দলের চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। দলের খাতায় আর মাত্র ৬ রান যোগ হতেই বিদায় নেন তৌহিদ হৃদয়। জ্বলে উঠতে গিয়েও পারেননি ডোয়াইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান। দুজনেই সমান ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন।

শেষ ভরসা নুরুল হাসানও ফিরে যান মাত্র ১১ রান করে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শহিদুল ইসলাম ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন। বল হাতে এদিন দ্যুতি ছড়াতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে এলিমেনেটর রাউন্ডে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বিপিএলের অষ্টম আসরেও শিরোপা অধরা রয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের জন্য। ফাইনালের মিশনে আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কুমিল্লা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here