হেরে মূলপর্ব শুরু করল টাইগাররা

0
225

খবর৭১ঃ শারজায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। আশালাঙ্কা এবং রাজাপাকসির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে র্নিধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৬ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার কুশল পেরেরাকে হারায় লঙ্কানরা। নাসুম আহমেদের করা বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১ রান করেন পেরেরা।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন মিলে তুলেন ৬৯ রান। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই জুটি ভাঙেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ইনিংসের নবম এবং নিজের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই নিশানকাকে প্যাভিলিয়নের ফেরত পাঠান তিনি। একই ওভারের চতুর্থ বলে আরেকটি উইকেট তুলে নেন সাকিব। ২৪ রানে নিশানকা এবং শূন্যরানে ফেরন ফার্নান্দো।

পরের ওভারে নিজের প্রথম শিকার পেয়ে পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন ৬ রানে।

৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল লঙ্কানরা। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে ভানুকা রাজাপাখসিকে সঙ্গে নিয়ে চারিথ ৮৬ রানের জুটি গড়লে জয়ের বন্দরেই পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৩১ বলে ৫৩ রান তুলে আউট হন রাজাপাকসি। এরপর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন আশালাঙ্কা। ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া ১ রানে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক দাসুন শানাকা।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাহিরু কুমারার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি ড্যাশিং ওপেনার লিটন দাস। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ১৬ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে এসে রান তুললে ব্যস্ত হয়ে পড়া সাকিবকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৭ বলে ১০ রান তুলে চামিকা করুনারত্নের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব।

লিটন-সাকিব আউট হলেও আপনতালেই ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার নাঈম শেখ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৭০ রানের জুটিতে। আর নাঈম তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ এবং বিশ্বকাপে প্রথম অর্ধশতক। এরপর তার ব্যক্তিগত ইনিংস থেমেছে ৬২ রানে। নাঈমের এই ইনিংসটি ৬টি চারে সাজানো। এরপর ব্যাট করতে নেমে ৭ রান করতে পেরেছেন আফিফ।

এদিকে নাঈমের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাচে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম। ফিফটি পূর্ণ করতে খেলেছেন মাত্র ৩২ বল। খেলে যান শেষ পর্যন্ত। ৩৭ বলে ৫টি চার এবং দুটি ছক্কার সুবাদে অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। আর ৫ বলে ১০ রানে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here