সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রেম,পরির্বতি বিয়ে,অবশেষে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে অজানা উদ্দেশ্যে যায় প্রেমিকা। তা মেনে নিতে পারে নি প্রেমিকার বাবা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আহসান হাবিব লাক মিয়া। তিনি মেয়েকে অপরহরন করেছে অভিযোগ তুলে একেই ইউনিয়নের বোলাখালী গ্রামে পিকআপ চালক কফিল উদ্দিন,তার ছেলে কলেজ পড়ুয়া আরিফ হাসান শুভ(২২)সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত ২১শে জুন থানায় অপরহরণ মামলা করেন। সেই মামলায় গত ২১জুন প্রেমিক আরিফের বাবা কফিল উদ্দিনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এমনি অভিযোগ তুলেছে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বোলাখালী গ্রামে পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনের পরিবার।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আহসান হাবিব লাক মিয়ার মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুক্তার(১৮)নিজেদের ইচ্ছায় প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছেন বলে প্রেমিকের সাথে দাড়িয়ে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন। এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আরিফের চাচার জসিম উদ্দিন,নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ের বোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনে ছেলে কলেজ পড়ুয়া আরিফ হাসান শুভ(২২)সাথে বাদাঘাট বাজারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কলেজ পড়ুয়া মাহমুদা আক্তার মুক্তার(১৮)সাথে প্রেমের সর্ম্পক ঘরে উঠে। সেই প্রেমের টানেই গত ৪মাস পূর্বে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আহসান হাবিব লাক মিয়ার মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুক্তার(১৮)বিয়ে করেছিল গরীব পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনে ছেলে আরিফ হাসান শুভ(২২)কে। এ বিয়ের বিষয়ে মেয়ে বাড়িতে জানালে মেনে নেয় নি মেয়ে বাবা। মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে গত ১৬জুন পরিবারের সবার অজান্তে রাতের আধারে প্রেমিক আরিফের হাত ধরে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় মুক্তা।
আরিফের মা মিরিনা বেগম জানান,এদিকে আমি আমার ছেলের খোঁজ পাচ্ছি না। অন্যদিকে আমার স্বামী,ছেলেকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আর পুলিশ পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি(স্বামী)কে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এখন আমি আমার সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
এবিষয়ে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আহসান হাবিব লাক মিয়া(মেয়ের বাবা)মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
তাহিরপুর থানার অফির্সাস ইনচার্য আব্দুল লতিফ তরফদার জানান,আহসান হাবিব লাক মিয়া তার মেয়েকে অপরহরন করেছে অভিযোগ করে একেই ইউনিয়নের বোলাখালী গ্রামে পিকআপ চালক কফিল উদ্দিন,তার ছেলে কলেজ পড়ুয়া আরিফ হাসান শুভ(২২)সহ তিনজনের নামোল্যেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। যদি মেয়ে নিজের ইচ্ছায় যেয়ে থাকে তাহলে সেই ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এর পূর্বে ছেলে মেয়েকে আমাদের জিম্মায় আসতে হবে।