ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদনের অপেক্ষায় করোনা টিকার ট্রায়াল

0
305

খবর৭১ঃ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় দেশে করোনা টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল পরিচালনা।

গত ২৩ জুন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্স (আইএমবিসিএএমএস)-এর সিআরও আইসিডিডিআরবি’র এমিরিটার সায়েন্টিস্ট ড. ফেরদৌসি কাদরীকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়।

যেখানে বিএমআরসি পরিচালক ডা. রুহুল আমিন উল্লেখ করেন, ট্রায়াল পরিচালনার ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম বয়সের কাউকে যুক্ত করা যাবে না।

বিএমআরসির এই অনুমোদনের পরদিন ২৪ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে টিকার ট্রায়াল পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে চিঠি দেন ড. ফেরদৌসি কাদরী। তবে এখনো ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন পায়নি তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, অনুমোদনের জন্য যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেগুলো এখনো আমরা পাইনি। ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সসহ সবধরনের কাগজপত্র জমা দিলে যাচাই-বাছাই করে আমরা অনুমোদন দিয়ে দেব।

প্রসঙ্গত, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আইএমবিসিএএমএস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মনোনীত বিশ্বের বৃহৎ বায়োমেডিকেল গবেষণা প্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সার্সকোভ-২ নামের একটি টিকা এরা উদ্ভাবন করেছে।

যা আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুসারে প্রাণীদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ও মানবদেহে পরীক্ষামূলক ফেজ-১ ও ফেজ-২ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

এ প্রতিষ্ঠান টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনায় দেশের একটি ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে গত ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করে।

যেটি পরিচালনায় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর’বির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ টিকার ট্রায়াল পরিচালিত হচ্ছে ও এর কোনো তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ওয়ান ফার্মা লিমিটেড।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here