কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি

0
833

রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে লোডশেডিং বা কোন কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয় রোগীদের। এমনকি মোমবাতি জ্বালিয়ে রোগীদের ইসিজি করা হয়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের জেনারেটরটি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তপক্ষ এটি মেরামত না করে ফেলে রেখেছেন। গত ৬ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের মোহাম্মদ আলী বজ্রপাতে আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল তখন ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা ছিল। প্রচন্ড গরমে রোগীদের হাসফাস জীবন। দুই ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই।

হাসপাতালে মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি করা হয় মোহাম্মদ আলীর। তখন তিনি মারা গেছেন। সোমবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া নামক স্থানে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৭ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। আর এই ৭ ঘন্টা অন্ধকারে ছিল কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়নি। রোগীর স্বজনরা মোমবাতি কিনে আলোর ব্যবস্থা করেন। বজ্রপাতে নিহত মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা মিঠু মালিথা জানান, তার চাচাকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসার দুই ঘন্টা পর মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি করা হয়। ইসিজি করার পর চিকিৎসকরা চাচাকে মৃত ঘোষণা করেন। সরকারি হাসপাতালে মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি করার ঘটনা দুঃখজনক বলে তিনি মনে করেন। রোগীদের জীবন রক্ষায় তিনি হাসপাতালের অকেজো জেনারেটর মেরামতের দাবি জানান। এ ব্যপারে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনা বলেন, হাসপাতালে এসে তথ্য নিতে হবে। মুঠোফোনে কোন তথ্য দেওয়া যাবে না বলে ফোন কেটে দেন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, জেনারেটরের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে তো কিছুই বলেনি। তারপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here