ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

0
205

খবর৭১ঃ সাধারণত মস্তিষ্কের টিউমারকেই ব্রেন টিউমার বলা হয়। যেকোনো বয়সেই ব্রেন টিউমার হতে পারে। কিছু টিউমারের সূত্রপাত মস্তিষ্কেই। এদের বলে প্রাইমারি ব্রেন টিউমার।

৮ জুন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ব্রেন টিউমার দিবস। ১৯৯৮ সালে জার্মান ব্রেন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি দাতব্য সংস্থা গঠিত হয়। ২০০০ সাল থেকে এই সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ব্রেন টিউমার দিবস।

ব্রেন টিউমার একটি অত্যান্ত জটিল এবং সংযোজনশীল অঙ্গের টিউমার। তাই রোগটির চিকিৎসা পদ্ধতিও অনেক জটিল ও ক্ষেত্রবিশেষ অনেক ব্যয়বহুলও। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যায় না। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই এ দিবষটি পালন করা হয়।

টিউমার কী?

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রবিউল করিম বলেন, টিউমার হচ্ছে শরীরের যেকোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এই টিউমার মস্তিষ্কের ভেতরে হলে সেটাকে আমরা ব্রেন টিউমার বলি।

ব্রেন টিউমার দুই রকমের হতে পারে। বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্টু টিউমার।

কিছু ব্রেন টিউমারের হয় শরীরের অন্য কোনো স্থানের টিউমার থেকে। এটাকে সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেন টিউমার বলা হয়।

ব্রেন টিউমার রোগীর লক্ষণ

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ নানা ধরণের। প্রধান বা স্বাভাবিক লক্ষণ মাথাব্যথা। এই মাথাব্যথা রোগীর কর্মকাণ্ডের সাথে তীব্র হয়। অর্থাৎ রোগী বিশ্রামে থাকলে মাথাব্যথা কম থাকে। আর কোন কাজ করলে তীব্রতা বাড়ে। অনেক সময় ভোরে মাথাব্যথাটা বেশি হয়।

পাশাপাশি রোগীর বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়াকে আমরা সব টিউমারের ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে ধরতে পারি।

এ ছাড়াও অনেক সময় রোগীর অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। রোগীর খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যেকোনো একদিকের হাত বা পা দুর্বল বা অবশ হয়ে যেতে পারে। আবার তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে।

ব্রেন টিউমারের ঝুঁকিতে কারা আছেন? এ রকম করে কাউকে নির্দিষ্ট করা যায় না। যেকোন মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here