খবর৭১ঃ নিজেকে ও দেশকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। হাত ধোয়া, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাধারণত আক্রান্ত দেশ ঘুরে এলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সেই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য। করোনায় আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে এলে আমাদের অন্তত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে। এতে তার শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও সে নিজেকে অন্যদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে যাতে তা আরো বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে।
করোনাভাইরাসের কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে তাকে নিজের শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
এর পাশাপাশি সঠিক খাওয়া-দাওয়া করাটাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে এবং শরীরের শক্তি বজায় থাকবে।
কোয়ারেন্টাইনে কি খাওয়া উচিত এবং কোন কোন খাবার আপনার ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া উচিত সেগুলো অনেকেই জানেন না।
সেই কথা মাথায় রেখে এবার তাদের জন্যে ৭ দিনের তালিকা দেওয়া হল। পরের ৭ দিন আবার এই এক তালিকাই মেনে চলতে হবে। সহজপাচ্য কিছু খাবার রয়েছে এই তালিকায়।
কোয়ারেন্টাইন প্রথম এবং দ্বিতীয় দিন
সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেজানো আমন্ড এবং কিসমিস খাবেন। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন পোহা।
দুপুরের খাবার খাওয়ার একঘন্টা আগে ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন।
দুপুরের খাবারে ডাল ভাত সবজি তরকারি খাবেন। আধ ঘন্টা পর একটি ফল খেতে পারেন।
রাতের খাবারে রুটি এবং ডাল খেতে পারেন। সবশেষে শোয়ার আগে হলুদ দুধ পান করবেন।
কোয়ারেন্টাইন তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন
খেজুর এবং আখরোট, ইডলি সাম্বার, গোলমরিচ দিয়ে রসম, জোয়ান লবণ দিয়ে পরোটা এবং দই, বাদাম এবং গুড়, খিচুড়ি, হলুদ দুধ।
কোয়ারেন্টাইন পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন
লবণবিহীন পেস্তা, হাতে বানানো দোসা বা রাগি দোসা, শুকনো নারকেল এবং গুড়, রাজমা এবং ভাত, রুটি এবং সবুজ সবজি দিয়ে তরকারি, হলুদ দুধ।
কোয়ারেন্টাইন সপ্তম দিন
পানিতে ভেজানো বাদাম এবং কিসমিস, উপমা, উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস, সাবুদানার খিচুড়ি সঙ্গে টক দই, জিরা রাইস এবং অঙ্কুরিত ছোলা।