বিরামপুরে বোর ধান কাটা-মাড়ার মহা উৎসব চলছে

0
453

মোঃ আবু সাঈদ, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি ভিত্তিক দেশ এদেশের সর্ববৃহত বিভিন্ন দিগ থেতে সু-নামের শহিত কৃষির জন্য সু-নাম অর্জন করেছে দিনাজপুর জেলা আর এ জেলাকে সারাদেশের মধ্যে খাদ্য শস্যের ভান্ডার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই জেলার সীমান্ত বর্তী একটি অ ল বিরামপুর উপজেলা অত্র উপজেলার প্রতিটি অ ল প্রতিটি মাঠে দেখা যায়, সবুজ শ্যামল, কাছে গিয়ে দেখা যায় ফসলে ভর্পুর। বর্তমার বোর ধানের মৌসুম, এবার আবওহয়ার অনুকুল পরিবেশ থাকায় মাঠে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে নেয্য মুল্যে বিক্রিও হচ্ছে যার ফলে অন্য বছরের তুলনায় কৃষকেরা হাসি মুলে উৎসব মুখর পরিবেশে ধান কাটা মাড়া নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এই উপজেলার ১টি পৌরসভা, ৭টি ইউনিয়ন, যেমন মুকুন্দপুর কাটলাহাট, খানপুর, দিওড়, বিনাইল, জোতবানী, পলিপ্রায়গপুর ইউনিয়ন এসব এলাকার মাঠের জমিতে শুধু কৃষি জনিত ফসল বর্তমানে বোর ধানের সময় হওয়ায় মাঠ ভরা সোনার ফসল ধান আর ধান যা খেয়ে মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। এসব ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে পৌরসভা, খানপুর, বিনাইল, দিওড়, ইউনিয়নে অধিক অংশ জমিতে বোর চাষের উপযোগী বেশি বেশি চাষ হযে থাকে। এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহামারী করোনা ভাইরাজ, রমজান মাস ওপেক্ষা করে কৃষকেরা হাসি মুখে ধান কাটা মাড়া নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে। চাষিদের সাথে কথা বললে তারা হাসি মুখে বলেন, আল্লাহর রহমতে ধানের ভালো ফলন হয়েছে এবং নেয্য মুল্যে বিক্রিও হচ্ছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লাভজনক হবে আমরা নেয্য মুল্য পাব উৎপাদন বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন, ৩৩ শতাংশ জমি এক বিঘা জমিতে ২২ থেকে ২৫ মন ধান হচ্ছে প্রতি মন ধান ৯’শ থেকে ৯’শ ৫০ টাকা দামে বিক্রি চলছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি বিদ নিকছন চন্দ্র পাল সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এবার আবওহার অনুকুল পরিবেশ থাকায় বড় ধরনের ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় ধানে কোন ধরনের পোকা মাকড়ে আক্রমন করতে পারে নাই এমন কি ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয় ক্ষতি হয় নাই ফলন ভালো হয়েছে কৃষকেরা নেয্য মুল্যে বিক্রিও করতেছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর আমাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৫ হাজার হেক্টর জমি তা ছাড়িয়ে এবার ১৫ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের ধান চাষ হয়েছে। যেমন জিরা শাহিন, বিরি ২৮, বিরি ২৯, হাই ব্রিডসহ আরো অনেক জাতের ধান চাষ হয়েছে। আমরা প্রতি দিন প্রতিটি সময় কৃষকে বিভিন্ন পরার্মশ দিয়ে আসছি যার ফলে আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে কৃষক নেয়্য মুল্যে বিক্রি করছে। আমরা এই ধান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করতে সখ্যম হয়ে থাকি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here