খবর৭১ঃ রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা সংগ্রহের যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার তা পেতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব এই কথা জানান।
এর আগে দুপুরে টিকা নিয়ে চীনের উদ্যোগে ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যোগ দেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র যেখান থেকেই হোক না কেন, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে টিকা আনতে ন্যূনতম দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।
সচিব বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে যে টিকা কেনা হবে, সেটা সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে। কারণ, রাশিয়া সরকারি পর্যায়ে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর মজুদ গড়ে তোলা হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে দেশগুলো এ মজুদ থেকে চিকিৎসাসামগ্রী নিতে পারে। এ ছাড়া কোভিড–পরবর্তী দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদে ব্যবসা বাড়াতে ই-কমার্স সম্প্রসারণের কর্মসূচি নেয়া হবে, যাতে গ্রামের লোকের ব্যবসাও ভালো থাকে।
এদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনার টিকার জন্য তিনটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভারতের টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় বিকল্প হিসেবে রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এরমধ্যে চীন পাঁচ লাখ টিকা দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।