মাস্কে ত্বকের সমস্যার সমাধান ঘরেই

0
212

খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের দাপটে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জীবনযাপনই ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। শরীরের অন্যান্য পোশাকের মতো মাস্কও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে মাস্ক পরে থাকতে গিয়ে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

অনেকক্ষণ মাস্ক পরে থাকার কারণে ছোট থেকে বয়স্ক অনেকেরই ব্রণের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যেকোনো বয়সেই মাস্কের সংস্পর্শে ব্রণর ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে যাদের এক নাগাড়ে মাস্ক পরে থাকতে হয়, তাদের সমস্যার ঝুঁকি বেশি।

সার্জিকাল ফেস মাস্ক যে উপাদানে তৈরি, তা ভাইরাস আটকাতে অত্যন্ত কার্যকর হলেও ত্বকবান্ধব নয়। বিশেষ করে যাদের সংবেদনশীল ত্বক, তাদের নাগাড়ে মাস্ক পরার কারণে ব্রণসহ নানা র‍্যাশের ঝুঁকি বাড়ে। তুলনামূলক ভাবে সার্জিক্যাল মাস্ক বা কিছু না হলেও পরিষ্কার সুতির কাপড়ের মাস্ক অনেক বেশি নিরাপদ।

রঙিন মাস্ক থেকে অ্যাকনে ও ইরাপশনের ঝুঁকি বাড়ে। মূলত রঙে ব্যবহৃত রাসায়নিক এই সমস্যার জন্য দায়ী। অ্যাকনে বা এই জাতীয় স্কিন র‍্যাশের অন্যতম কারণ রোমকূপের মুখ আটকে যাওয়া। এর হাত থেকে রেহাই পেতে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তবেই মাস্ক পরতে হবে। যাদের অত্যন্ত বেশি ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি অয়েল ফ্রি লোশন লাগিয়ে মাস্ক পরবেন।

ব্রণ বা যেকোনো স্কিন র‍্যাশের সমস্যার মূলে অবশ্য রয়েছে অপরিছন্নতা। তাই মুখ পরিষ্কার রাখা জরুরি। যাদের অফিসে টানা ৭–৮ ঘণ্টা মাস্ক পরে থাকতে হয়, তাদের এই সমস্যার ঝুঁকি বেশি। কাজের ফাঁকে সম্ভব হলে অফিসের ফাঁকা করিডরে গিয়ে মাস্ক খুলে কিছুক্ষণ থেকে মাস্ক স্যানিটাইজ করে আবার পরে নিন। কিংবা অফিসে খাবার আগে মাস্ক খুলে মুখ হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে খাবার পর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে অন্য পরিষ্কার মাস্ক পরুন। ব্রণ হলে কখনোই তাতে হাত দেয়া যাবে না, তা হলেই কালো দাগ হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here