খবর৭১ঃ
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ দমনে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দেশটির তিন শহরে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫০ ছাড়াল।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে জান্তা সরকারের সমালোচনা করায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমারের তরুণ-যুবারা। সেনাদের অত্যাচারের পালটা জবাব দিতে গ্রামবাসী অস্ত্র বানাচ্ছেন ঘরে বসেই। জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
খবর মিয়ানমার নাও, ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার ও দ্য ইরাবতী। মিয়ানমার নিউজের খবরে জানানো হয়, মনিওয়া শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন নিহত হন। বাগো শহরে আরও একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। থাটন শহরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে একজনকে।
মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে। তাদের মধ্যে সামাজিক গণমাধ্যমের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দুজন সাংবাদিক রয়েছেন। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে-এমন আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হিংস থাবার বিপরীতে ফুঁসে উঠেছে গণতন্ত্রকামীরা। এবার তারা ‘শেষ যুদ্ধে’ নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গণতন্ত্র তারা ফিরিয়ে আনবেনই। কাচিনের ইনডিপেনডেন্স আর্মিতে যোগ দিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মিয়ানমারের তরুণ-যুবারা। লক্ষ্য, ক্ষমতাসীন সেনাদল তাতমাদাওয়ের সঙ্গে যুদ্ধ।
এমনই এক যুবকের সঙ্গে কথা বলে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের প্রতিবেদক। চলমান এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেই কাচিনের এই যুবক মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ‘বিপ্লবই হচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।’
জাউ তু (ছদ্মনাম) নামের ওই যুবক বাবা-মাকে বন্ধুর বাড়ি বাড়াতে যাচ্ছে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ১৩ মার্চ। পরদিনই ২৩ বছরের ওই যুবক কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মিতে নাম লেখান। তিনি নিয়মিত প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।
এমনকি, তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিনই কেউ না কেউ এসে নাম লেখাচ্ছেন এখানে। তিনি কেন এ দলে নাম লেখালেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাউ ফ্রন্টিয়ারকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে জান্তাবাহিনীর সহিংস, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে আমি বিরক্ত। সামরিক জান্তাদের উৎখাত করবই।’