ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪

0
186

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় অপহণ করে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১ মার্চ সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার জামালপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের উত্তর মহেষপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বাবুল ওরফে বাবু (১৯), খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২০), জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নুনতোর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রহমান (১৯) এবং মোহাম্মদপুরের ঝাড়বাড়ি গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে রমজান (১৯)। এরআগে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজন অপরাধ স্বীকার করেছে। বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”মামলার বরাত দিয়ে ওসি তানভিরুল বলেন, এক মাস আগে বাবুল ওরফে বাবুর সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী তার ১২ বছর বয়সী বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাবুর সঙ্গে বাড়ির পাশে কাশিয়াডাঙ্গী বাজারে দেখা করতে যায়।

সে সময় ১২ বছর ঐ শিশুকে কৌশলে ওই বাজারের পাশে একটি বাড়িতে আটকে রাখে বাবু।পরে ঐ কিশোরীকে অপহরণ করে ওই বাজারের পাশের এক আম বাগানে নিয়ে যান বাবুল ওরফে বাবু। সেখানে আগ থেকে ওৎ পেতে থাকা তার বন্ধুরাসহ বাবু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে ঐ কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা বলেন তিনি। পরদিন সকালে আটকে রাখা ১২ বছর বয়সী শিশু কৌশলে ঐ বাড়ি থেকে পালিয়ে আম বাগানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বোনকে খুঁজে পায়। এরপর দুজনে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহারাজা বাজারে যায়। পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুজি করে সেদিন বিকেলে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here