বেনাপোল ষ্টেশনে রেল গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক

0
387
বেনাপোল ষ্টেশনে রেল গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যে গতিশীলতা আনতে বেনাপোল ষ্টেশনে রেল গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১০টার সময় বেনাপোল ষ্টেশনে রেল গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারনের কাজ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান।

বেনাপোল রেল ষ্টেশনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। একসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রায় পরিত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়েতে রেল গুডস পরিবহনসহ বিভিন্ন মাত্রা যোগ করে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে এসেছে। যা গ্রাম্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কাজে আসছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম, রাজশাহী মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, ইতিমধ্যে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠাতে বনগা ও পেট্রাপোল সীমান্তসহ তাদের অভ্যন্তরে বেশ সমস্যা ছিলো। যা নিরশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে আলাপচারিতায় আমরা রেল গুডস পরিবহন চালু করেছি। এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ রেল ওয়েকে ঢেলে সাজানোর। যেকারণে বেনাপোল পোর্ট অথরিটির সাথে কমবাইটে আপাতত ৪টি লাইনের পরিকল্পনায় ৪কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি গুডস ইয়ার্ড সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন করা হলো।

এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত যে মহাপরিকল্পনা রয়েছে তা ২০২৪ সালে পদ্মা সেতু হয়েগেলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে সিংদিয়া ও রুপদিয়া হয়ে বেনাপোল চলবে। এসাথে বেনাপোল এক্সপ্রেসের সাথে আরো দুইটা ট্রেন আসছে। যা ১৩৭ মিলিয়নের প্রজেক্ট প্যাকেজ নিয়ে আমেরিকা থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আগামী এপ্রিল থেকে আনা শুরু হবে। এটি হবে ওয়াল্ডের বেস্ট ট্রেন। স্পীড হবে ১২০ কিমি। গুডস স্পীড ৬০ কিমি। এছাড়া, বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্টের উপর বেস করে ১০ রকমের ব্রান্ড দিয়েছেন ভারত। পদ্মা ব্রীজ হয়েগেলে ১০০টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত আছে। এছাড়া এশিয়ার প্যাসেঞ্জারের মৈত্রিট্রেন এপথ দিয়েই চলবে। বেনাপোলের জায়গা সমস্যা সমাধানে কাস্টম বিজিবির চেকিংয়ের পরে শার্শাতে প্যাসেঞ্জার ষ্টেশন নির্মান করা হবে। বেনাপোলে লোডিং আনলোডিং পয়েন্ট রেখে শার্শাকেও ডেভোলপ করতে হবে। তাতে বেনাপোল বন্দরের আয়তন বাড়বে।

এসময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া ঠেকাতে বেনাপোল রেল স্টেশনে একটি গাছের তলে বসেছিলেন। যা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনিতে উঠে এসেছে। চলমান ম্যুরালের বিষয়টি মিটে গেলে বেনাপোল রেলষ্টেশনের বটতলায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মান করা হবে। এসাথে বেনাপোল ষ্টেশনকে আর্ন্তজাতিকমানের তৈরি করা হবে।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদাণ করেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, যশোর জেলা নাগরিক অধিকার আন্দোলন কমিটির সভাপতি মাসুদুজ্জামান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মোঃ মাসউদুর রহমান, সিএসটিই সুশীল কুমার হালদার, সিওপিএস শহিদুল ইসলাম, সিসিএন আহসান উল্লাহ ভুইয়া, সিএনই কুদরতই খুদা, সিইই শফিকুর রহমান, সিসিআরএনবি আশাবুল ইসলাম, পিএস এসএম ফেরদৌস আলম, শার্শা উপজেলা (ভূমি) সহকারি কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথিসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here