খবর৭১ঃ নিয়ম মেনেই ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার দেশটির কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিক বিজয়ী ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ২০ জানুয়ারি সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতার হাতবদল হবে।
ট্রাম্প তার মুখপাত্রের টুইটারে দেয়া এক বার্তায় বলেন, ‘যদিও আমি নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে দ্বিমত পোষণ করি এবং প্রকৃত ঘটনায় আমার সঠিকত্ব বোঝা যায়- তা সত্ত্বেও জানুয়ারির ২০ তারিখে সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।’
নিজের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অধ্যায়ের সমাপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার বরাবরই বৈধ ভোট গণনা নিশ্চিত করার কথা বলেছি। আর এটা আমেরিকাকে পুনরায় সর্বশ্রেষ্ঠ করার লড়াইয়ের সূচনা।’
এর আগে মার্কিন কংগ্রেস জো বাইডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং কমলা হ্যারিসকে পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়। সিনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পেনসিলভানিয়া এবং অ্যারিজোনা রাজ্যে ভোটের আপত্তি খারিজ করে দিলে ইলেকটোরাল ভোট অনুমোদিত হয়।
বাইডেনের জয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণার জন্য কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন যখন শুরু হয়, তার আগে থেকেই কংগ্রেস ভবনের বাইরে ট্রাম্প–সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা ভবনে হামলা চালান। এতে অধিবেশন সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় ট্রাম্প–সমর্থকদের সেখান থেকে বের করে দিয়ে আবারও অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় নিহত হন চারজন।
সংঘর্ষের ঘটনার পর ট্রাম্পের নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টটি টুইটার কর্তৃপক্ষ ব্লক করে দেয়। ফলে তিনি এখন তা ব্যবহার করতে পারছেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে ট্রাম্পের ২৩২টির বিপরীতে বাইডেনের পক্ষে আসে ৩০৬টি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্টেটে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়ে বিফল হয় ট্রাম্প।
ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের নির্বাচন কর্মকর্তা ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগকে ভ্রান্ত আখ্যা দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্টেটে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়েও বিফল হয় ট্রাম্প।