খবর৭১ঃ টানা ছয় দিন হাজারের নিচে থাকার পর বাংলাদেশে একদিনে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা হাজার পার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে ১০০৭ জনের দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫ জনে।
একই সময়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭১৮ জনে।
বৃহস্পতিবার বিকালে করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৯৬৬ জন করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯৬৬ জনের করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় খবর জানানো হয়। তাদের নিয়ে এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৩৪টি। আর দেশের মোট ১৮১টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫,৩৮১টি। এর মধ্যে ১,০০৭ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬.৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৮১০টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫.৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করা ৭,৭১৮ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৮৬৭ জন পুরুষ ও ১,৮৫১ জন নারী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৯৬৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯.৩৩ শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩৮ হাজার ৪৯৪ জন ব্যক্তি। আর, আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ হাজার ২৭১ জন।
মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তের এক বছর পার হয়েছে গত ডিসেম্বরের শেষে। গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।