মেজর (অব.) সিনহা হত্যাঃ ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

0
303
মেজর (অব.) সিনহা হত্যাঃ ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

খবর৭১ঃ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে র‍্যাব। মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে র‍্যাব।

আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনায় মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা তিনটি মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাগর দে পলাতক। বাকি সব আসামি কারাগারে।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।

তাঁর সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তাঁর ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। তিনটি মামলার দুটি মাদক রাখার অভিযোগে এবং একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।

এ ঘটনায় হত্যা মামলাটি করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। গত ৫ আগস্ট আদালতে করা এই মামলায় তিনি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করেন।

চারটি মামলারই তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব। পরে র‍্যাব এ ঘটনায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের ১১ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন গ্রামবাসী। পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে র‍্যাব। গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আদালতে তিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব জানিয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, কেন সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আজ দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবে র‌্যাব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here