দেশে নতুন শনাক্ত ৬৫৮ এইডস রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা ১২৪

0
285
বাংলাদেশে ৬৫৮ জন এইডস রোগী শনাক্ত, মারা গেছেন ১৪১ জন

খবর৭১ঃ
২০২০ সালে নতুন করে ৬৫৮ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪১ জন। সরকার বিনা মূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু রেখেছে। তবে দেশে এইচআইভি-এইডস এখনো প্রবল সমস্যা নয়। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারলে এই সমস্যা মোকাবিলা করা কঠিন হবে না।

গতকাল শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নেব দায়িত্ব’।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল অ্যান্ড এএসপি অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম প্রমুখ।

দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি এক বিশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশ থেকে এইডস আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে, তখন আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। এই করোনার সময়েও এইডস রোগীদের চিকিত্সাসেবা দেওয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরনের চিকিত্সাসেবা ও পরীক্ষার ব্যবস্থা বিনা মূল্যে চালু রেখেছে। ফলে আমাদের দেশে এইডসের সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা গেছে, এ বছর গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিক্যাল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশনসহ সব স্থান মিলিয়ে ৫ লাখ ২ হাজার ১৬৫ জনকে এইচআইভি টেস্ট করা হয়েছে এবং স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৪২৪ জনকে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো এইচআইভি-এইডসকে প্রবল সমস্যা হিসেবে দেখছি না, যদি আমরা আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারি।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত নতুন শনাক্ত হওয়া ৬৫৮ জন এইডস রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১২৪ জন। ডা. শামিউল আরো বলেন, চলতি বছরে মোট শনাক্ত হওয়া ৬৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ, নারী ২১ শতাংশ আর তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছেন ২৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যের ব্যক্তিরা। নতুন শনাক্তের মধ্যে ২৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৭৪ দশমিক ২০ শতাংশ, শূন্য থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে রয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here