খবর৭১ঃ ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক রিটার্ন জমার সময় এবার বাড়ছে না। ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই জমা দিতে হবে রিটার্ন। তবে যারা এই সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না, তারা আইন অনুযায়ী সময় বাড়াতে আবেদন করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ কথা বলেন।
করোনা মহামারির কারণে এবার কর মেলা হচ্ছে না জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, তবে করদাতাদের সুবিধার জন্য প্রতিটি কর অঞ্চলে কর মেলার পরিবেশে রিটার্ন গ্রহণ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান, কর তথ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। রিটার্ন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট করদাতাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দেওয়া হচ্ছে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে ৬৬ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এই সময় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৭ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের কাছ থেকে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভ্যাটের ইলেকট্রনিক ফিশকাল ডিভাইসের (ইএফডি) পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হয়েছে। আগামী মাসে ১ হাজার এবং পর্যায়ক্রমে আরও ১০ হাজার ইএফডি বসানো হবে।
অনলাইন দুনিয়ার গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো বৈশ্বিক ডিজিটাল মাধ্যম থেকে কর আদায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে এনবিআরের চেয়ারম্যান জানান, রায়ের কপি এখনো পাননি তারা। এই মাধ্যমকে থেকে রাজস্ব পাওয়ার অসুবিধার দিক হিসেবে তিনি বলেন, ‘শুধু ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ থেকেই আমরা রাজস্ব পাই। হুন্ডির মতো অন্যান্য মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হলে তা থেকে রাজস্ব পাওয়া যায় না।’ এসব নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে বলে জানান তিনি।