ইউএনও ওয়াহিদার বাসভবনে টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি

0
320
ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থা স্থিতিশীলঃ মেডিকেল বোর্ড
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ দুর্বৃত্তের হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিমউদ্দীন এ তথ্য জানান।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দিনাজপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহানুর রহমানের উপস্থিতিতে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিমউদ্দীন, পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম, মামলার বাদী ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদউদ্দীন ঘোড়াঘাটে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন।

সেখান থেকে ইউএনওর ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় উদ্ধার করা হয়। সেসব জিনিসপত্র ইউএনওর ভাই মামলার বাদী শেখ ফরিদউদ্দীনের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিমউদ্দীন বুধবার জানান, চাবি উদ্ধারের পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইউএনওর কাপড়চোপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ইউএনওর ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। যেহেতু এগুলো মামলার কোনো আলামত নয়, তাই এগুলো তার পরিবারের কাছেই ফেরত দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই সময় আমি সেখানে ছিলাম, ইউএনওর বাসভবন থেকে কোনো টাকা উদ্ধার করা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনওর বাসভবনে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি বা উদ্ধার করা হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড়ভাই শেখ ফরিদউদ্দীন বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি ইতোমধ্যেই ঘোড়াঘাট থানা থেকে স্থানান্তর করে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফরকে।

মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ। এরা হল ঘোড়াঘাটের বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম, রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম, সান্টু কুমার দাস, ইউএনওর বাসভবনের নৈশ্যপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশ ও ইউএনও অফিসের সাময়িক বরখাস্তকৃত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (মালি) রবিউল ইসলাম।

এদের মধ্যে আসাদুল ইসলাম, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নতুন কোনো আবেদন না থাকায় আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মামলার আরেক আসামি নাদিম হোসেন পলাশকে রিমান্ডে না নিয়েই আদালতে সোপর্দ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here