মহাসড়ক ব্যবহারে টোল নিতে চায় সরকার

0
438
মহাসড়ক ব্যবহারে টোল নিতে চায় সরকার

খবর৭১ঃ রাস্তাঘাট মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যাতে টোলের টাকা থেকে আসে সে কারণে মহাসড়ক ব্যবহার করলে টোল নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

কীভাবে টোল নেয়া যায়, সেই পরিকল্পনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সবকিছু টোলমুক্ত হবে, তা ঠিক নয়। রাস্তাঘাট মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যাতে টোলের টাকা থেকে আসে, সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) টোল নেওয়ার পক্ষে।

মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে (প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে) মন্তব্য এসেছে, সড়কে টোল বসানো। টোল সংযোজিত হবে। আমাদের রাস্তা বানাতে হবে। রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। মেরামত করতে হবে। মেরামত না করলে আপনারা সবাই বিরক্ত হন। টাকা লাগে তো। সুতরাং টোল করে সামান্য টাকা চাঁদা দিয়ে যাবেন। এটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, এটা বোধহয় ফ্রি হওয়া ঠিক নয়। আমি তার সাথে শতভাগ একমত।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। টোল ফ্রি না করে, টোল যেন নেয়া হয়। যাতে কস্টটা রিকভারি হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তবে টোলের সিস্টেমটা দ্রুত করতে হবে। গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এক ঘণ্টা, এটা ঠিক নয়। এখন টেকনোলজি আছে, তাড়াতাড়ি নিয়ে নিতে হবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের কোনো প্রকল্পে বিশ্রামাগার তৈরির জন্য বরাদ্দ না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিবর্তে এক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিশ্রামাগার নির্মাণের পরামর্শ দেন তিনি।

একনেক সভায় দুটি সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উঠলে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে।

বিশ্রামাগার নির্মাণ না করা সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত ছিল না বলে ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে কোনো কর্মকর্তা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেলে ওই দিন ফেরত আসতে পারতেন না। এজন্যই সড়কের পাশে সরকারি উদ্যোগে বিশ্রামাগার তৈরি করা হতো। এখন যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। দিনে দিনেই বৈঠক করে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারেন।

একনেক সভায় তিন থেকে চার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বিশ্রামাগার নির্মাণের বরাদ্দ কেটে দেয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here