নদীপারে স্থানান্তরযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

0
564
নদীপারে স্থানান্তরযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

খবর৭১ঃ ভাঙনকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ভিন্ন মডেলে তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নদীভাঙনে পড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনটি যাতে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায় সে ব্যাপারে ভাবতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এম এ মান্নান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, মুন্সীগঞ্জে দেখা যায় টিনের বাড়ি দোতলা। সুন্দর সুন্দর একতলা, দোতলা। কারণ, তারা পদ্মার পাড়ে বাস করতো। পদ্মা ভাঙার সময় এলে তারা উঠিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দিতে পারে। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, আপনারা মডেল ডেভেলপ করেন। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কলেজ–এগুলো যাতে গাঙ্গের পাড়ে, নদীর পাড়ে যেগুলো হুমকির সম্মুখীন, সেগুলো আমরা যেন তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিতে পারি। যাতে করে গোটা বিল্ডিং না খেয়ে ফেলে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন বা আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক জায়গায় নদী বড় বড় বিল্ডিং চোখের সামনে খেয়ে ফেলেছে। কয়েক দিন আগে ছবি দেখলাম কোন চ্যানেলে, সুন্দর একটা নতুন প্রাইমারি স্কুল একদম তরতাজা, কিছুক্ষণের মধ্যে খেয়ে ফেলল নদী। এটা প্রায়ই হয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মন্তব্য করলেন, আমরা যে নদীর পাড়ে ঘরবাড়ি বানাই, আমরা চিন্তা করি কোথায় বানাচ্ছি? বানিয়ে চলে গেলেন, নদী ভেঙে নিয়ে গেল। এটা ঠিক না। তার ধারণা যে, সমন্বয় করতে হবে। নদীর চরিত্র বুঝতে হবে। জেনেশুনে নির্মাণ করতে হবে। আরও মোস্ট ইমপোর্টেন্ট, সবজায়গায় সবকিছু নির্মাণ করা যাবে না।’

দেশে আর স্লুইচ গেট না নির্মাণ করার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রীর) অভিজ্ঞতা, বৃহদাংশ স্লুইচ গেট কাজ করে না। এগুলো নামলে উঠে না, উঠলে নামে না। বানিয়ে চলে যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড যারা বানায়, এটা রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যথাযথ স্টাডি নাই।

নদীর পাশাপাশি খালও খননেরও নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা আমাদেরকে পলি দেয়, বন্যার পানি ধুয়েমুছে ময়লা সাফ করে নিয়ে যায়। সুতরাং বন্যার সঙ্গে আমরা যেন এডজাস্ট করে চলি। এটাকে যেন আমরা শত্রু না মনে করি। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলো ড্রেজিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। উপকূলের নদীগুলোর মুখ পরিষ্কার হলে পানি তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here