শিগগিরই পায়রা বন্দরকে দৃশ্যমান জায়গায় নিয়ে যাবো: নৌ প্রতিমন্ত্রী

0
380
শিগগিরই পায়রা বন্দরকে দৃশ্যমান জায়গায় নিয়ে যাবো: নৌ প্রতিমন্ত্রী

খবর৭১ঃ
পায়রা বন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পায়রা বন্দরের কাজে গতিশীলতা এসেছে। চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলা করে শিগগিরই পায়রা বন্দরকে দৃশ্যমান জায়গায় নিয়ে যাবো।

রবিবার (২৬ জুলাই) পায়রা বন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন। এরআগে তিনি বন্দরের অফিস প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দরে দৃশ্যমান কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এর টেন্ডারও হয়ে গেছে। কয়লাবাহী জাহাজ আসতেছে। ইতিমধ্যে ৭৩টি জাহাজ এই বন্দরে এসেছে যার মধ্যে ৩১টি হলো কয়লাবাহী। এসব জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে সরকারের ১শ ৭৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের জন্য সড়ক অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। মূল টার্মিনালের যাওয়ার পথে রাবনাবাদ নদের উপর যে সেতু করার দরকার, তার টেন্ডার আগামী ১ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর সম্পর্কে অনেকেই নেতিবাচক প্রচারণা দিচ্ছে। আমরা এখনও ড্রেজিং করি নাই, কিন্তু তাতেও ১৪ মিটার পর্যন্ত ড্রাফট আছে। আমরা ড্রেজিং এর যে চুক্তি করেছি। তা নিয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যে স্টাডি হয়ে যাবে। তারপর ড্রেজিং হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বন্দরকে ঘিরে এখানে একটা বিরাট অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। যাতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পায়রা বন্দর হবে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য যা করেছেন। ইতিপূর্বে কোনো নেতা, কোনো সরকার প্রধান এমন সামগ্রিক উন্নয়ন করেন নাই। শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, অর্থনীতিসহ এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মণিকোঠায় চলে গেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদেরকে শুধু স্বপ্ন দেখাচ্ছেন না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একজন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্টেপ বাই স্টেপ কাজ হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে কর্মকর্তাদের আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাজের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, পায়রা বন্দর অবকাঠামো সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর কাজ ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here