সাবরিনার সহযোগিতাকারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে

0
391
করোনাভাইরাস টেস্ট নিয়ে প্রতারণাঃ ডা. সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ডা. সাবরিনা। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ
বিতর্কিত জেকেজি ও ডা. সাবরিনাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি।

করোনা টেস্টে বিতর্কিত জেকেজির কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডা. সাবরিনা প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও সহযোগিতা পেয়েছেন। সহযোগিতা না পেলে একাজগুলো করার কথা না। তদন্তের জন্য যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

শনিবার মিন্টু রোগে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তদন্তকারী সংস্থা ডিবি কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাবরিনা সরকারি চিকিৎসক হিসেবে তার ‘ফেইসভ্যালু’ ব্যবহার করে জেকেজির স্বার্থ হাসিল করেছেন। যেমন প্রাথমিকভাবে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় একটা প্রজেক্ট তৈরি করেছিল। সেই প্রজেক্টটাও তারা যে পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ এবং কোভিড রোগীদের যে সার্ভিস দেওয়ার কথা ছিল তা তারা দেয়নি।

এই দুর্নীতির তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে ডিবি কর্মকর্তা বাতেন বলেন, ‘তদন্ত শেষে অনিয়ম পেলে ক্রিমিনাল অপরাধগুলো রেকর্ডে নিয়ে আসব আর যেগুলো অনিয়ম ‘ডিপার্টমেন্টাল’ সেগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’

জেকেজির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নানা প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া পরীক্ষার সনদ দিচ্ছিল। তাদের প্রতারণার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরী ডা. সাবরিনার স্বামী। সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন।

জেকেজির দুর্নীতির মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার সাবরিনাকে গত ১২ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সরকারি চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here